সেনাবাহিনীর বিচারিক / মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা


 

মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে সাঁড়াশি অভিযানে সেনাবাহিনী।


এক নজরে জেনে নিন মেজিস্ট্রেসি  পাওয়ারের আওতায় সেনাবাহিনী কি কি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন.. 


ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর তফসিল-iii এর বিধান অনুসারে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাধারণ ক্ষমতা হল-


১. ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার এবং হেফাজতে রাখার ক্ষমতা। (ধারা-৬৪)
২. গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা, বা গ্রেপ্তারের জন্য তিনি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। (ধারা-৬৫)
৩. ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্ট ধারার অধীনে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা। (ধারা-৮৩, ৮৪, ৮৬)
৪. ডকুমেন্ট ইত্যাদির জন্য ডাক ও টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুসন্ধান এবং আটক করার ক্ষমতা।(ধারা-৯৫)
৫. অন্যায়ভাবে বন্দী ব্যক্তিদের খোজার জন্য অনুসন্ধান পরোয়ানা জারি করার ক্ষমতা।(ধারা-১০০)
৬. সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা। (ধারা-১০৫)
৭. শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজনের ক্ষমতা (ধারা-১০৭)।
৮. শান্তি বজায় রাখতে বা ভাল আচরণের জন্য আবদ্ধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা (ধারা-১২৪)।
৯. অভ্যাসগত অপরাধীদের কাছ থেকে ভাল আচরণের জন্য জামিন প্রদানের ক্ষমতা (ধারা-১২৬)
১০. বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা (ধারা-১২৭)
১১. ছত্রভঙ্গ করার জন্য বেসামরিক শক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা (ধারা-১২৮)
১২. বেআইনি সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা (ধারা-১৩০)
১৩. জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে একটি আদেশ জারি করার ক্ষমতা (ধারা-১৪২)
১৪. স্থানীয় তদন্ত করার জন্য তার অধস্তন যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিযুক্ত করার ক্ষমতা (ধারা-১৪৮)।

Post a Comment

Previous Post Next Post