মিটিং করাই হয়েছে সামরিক ঘাঁটিতে,
স্বাভাবিকভাবেই কিছু সামরিক কলকব্জা থাকবেই,
কিন্তু মোটামুটি যুদ্ধবিমান দেখানোর অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ট্রাম্প আকাশে আমেরিকার সক্ষমতাই দেখাতে চেয়েছেন।
সারি করে রাখা অনেক যুদ্ধবিমান,
এয়ারফোর্স ওয়ানের সামনেও চারটা ছিল,
এছাড়া পোডিয়ামের দিকে হাঁটার সময় F-35 আর B-2 এর রোয়ার মোটমুটি বিশালই ছিল।
যদিও এই আলোচনার আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গায়ে USSR বা সোভিয়েত ইউনিয়ন লেখা টিশার্ট একটা নতুন মাত্রার জন্ম দিয়েছে,
ন্যাটোর এক্সপানশন কিংবা গ্রেটার ইসরায়েলের যুগে,
কিংবা গ্রেটার আমেরিকা- গ্রিনল্যান্ড দখল করে,
সেখানে গ্রেটার রাশিয়াও বাদ থাকে কেন!
মূলত এখনে একটা সাইকোলজিক্যাল গেইম খেলার সম্ভাবনা রয়েছে, ইউক্রেনের কিঞ্চিৎ জমি ছাড়া রাশিয়া বাকি কিছু পাত্তা দিবে না টাইম ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছে হয়ত।
ওদিকে ট্রাম্প পুতিন আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে ৮০+ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্যজুয়ালিটি বেশি না।
এক্ষেত্রে পরিস্থিতি কয়েকটা দিকে গড়াতে পারে-
☞ ইউক্রেনকে চাপ দিয়ে জমি ছেড়ে চুক্তিতে রাজি করাতে প্ব্রেন ট্রাম্প। জেলনেস্কি আমেরিকা যাচ্ছেন। তবে ইউরোপ এখানে কান পড়া দিবে ইউক্রেনকে। ইউক্রেনের জমি দখল মানে ইউরোপের উপর আরো চেপে বসবে রাশিয়া।
☞ রাশিয়ার সাথে কোন চুক্তি না করে সংঘর্ষ আরো বাড়াতে পারে ট্রাম্প। এতে এটা তার লক্ষ্য না, নির্বাচনী ওয়াদা, ব্যবসায়ীক নলেজ এটার সাথে যায় না। আর রাশিয়া ইরান না যে ৬টা ৮টা ব্যাংকার ব্লাটার মেরেই চুক্তি করায়া ফেলতে পারবে।
☞ ন্যাটো চাপ দিতে পারে ট্রাম্প। রাশিয়া বলছে রুট কজ সলভ না হওয়া পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হবে না। এখানে রুট কজ হল ন্যাটোর পূর্ব দিকে এক্সপানশন। এক্ষেত্রে ন্যাটো চাপে পড়বে। এম্নেও ট্রাম্প ন্যাটোকে, বা ন্যাটো ট্রাম্পে অত ভরসা ও সম্মান করে না।
এখানে চীন, ইন্ডিয়া কীভাবে রিয়েক্ট ও নেগোসিয়েট করে সেটাও দেখার বিষয়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সবাই সাফার করছে, কেউই যুদ্ধ চাচ্ছে না।
মাঝখানে হয় কোপটা পরবে ইউক্রেন আর ইউরোপের উপর।
.jpeg)
Post a Comment